আজকে আমরা "অল টিপস বাংলায়" একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যে বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করা অতীব জরুরী। কেননা বর্তমান সময়ে এই বিষয় টি খুব লক্ষ্যণীয় ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তাই আমরা আজ এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। আমাদের আজকে কথা বলার বিষয় হচ্ছে, মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমস। আজকে আমরা মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমস খেলা যাবে কি? যাবে না এবং এর উপকারী ও অপকারী দিক নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা সকলেই জানেন বর্তমান সময়ে এমন একটি মোবাইল পাওয়া যাবে না যেখানে গেমস নেই। সে গুলোতে রয়েছে নানা ধরনের গেম কোন গুলোতে রয়েছে ভিডিও আবার কোন গুলোতে রয়েছে অন্য অন্য থ্রিডি এনিমেশন গেমস। এই সব গেমস খেলা আসলে ঠিক না। কেননা এগুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলি। যা মোটে ও ঠিক না। তার পরেও আজকে আমরা এই পোষ্টে মোবাইল এর মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভিডিও গেমস খেলা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাচ্ছি। তাই বেশী কথা না বাড়িয়ে আমাদের সেই গুরুত্বপূর্ণ কথার মূল কথা গুলি শুরু যাক।
আমি আগেই বলেছি এখন ও বলতেছি বর্তমান সময়ে প্রায় সব মোবাইল ফোনেই রয়েছে ভিডিও গেমস খেলার প্রোগ্রাম। আর এই সব গেমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরন। যথাঃ-
(ক).. এমন অনেক ভিডিও গেমস রয়েছে যে গুলির মধ্যে জীব জন্তুর ছবি নেই। যেমন- বিমান, হোন্ডা, রকেট, হেলিকপ্টার, নৌ-যান, সাবমেরিন, জাহাজ, গ্রহ, নক্ষত্র, ও চন্দ্র ইত্যাদি। আর এই সব জীবনহীন বস্তু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। অথবা জীবজন্তু হলে ও সেগুলো অনেক ছোট হওয়ার কারণে সুস্পষ্ট ভাবে নাক-কান মুখ, চোখ বুঝা যায় না। এগুলো কে মূলত শুধুমাত্র নকশার মতোই মনে। নিম্নের কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তি পাবার আশায় এবং অস্পষ্ট প্রাণী দিয়ে তৈরি হয়েছে, এমন ভিডিও গেমস খেলা জায়েজ আছে।
শর্তগুলো হলোঃ-
১.. এই সব গেমের জুড়ুয়া থাকতে পারবে না।
২.. এই সব গেম খেলার জন্য নামাজ নষ্ট করা।
৩.. বান্দার হক নষ্ট করা যাবে না।
৪.. জরুরী কোন কাজ বা লেখাপড়ার উপর এই গেমস খেলার জন্য কোন বিরুপ প্রভাব ফেলা যাবে না।
৫.. খেলায় একেবারে মশগুল হয়ে থাকা যাবে না।
(খ).. যে সব ভিডিও গেমসে প্রাণীর ছবি সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে, এই সব গেমস খেলা জায়েজ নয়। কেননা ইসলামে কোন প্রাণীর ছবি অংকন করা বা তার মুর্তি তৈরি করা হারাম। এই সব গেম খেলা এমনিতেই তো হারাম। তার ওপর যদি উপরোক্ত শর্ত গুলো ও অনুপস্থিত হয়ে যায়। তাহলে তো আর এই সব গেমস কে নাজায়েজ বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনারা নিশ্চয়ই তা বুঝতে পারছেন।
আমাদের উপরোক্ত কথা গুলো সপক্ষে তথ্যসূত্র সমূহের বই গুলো ও তার পৃষ্ঠাগুলো কে নিম্নে উপস্থাপন করা হল।
মাহমুদিয়া, খন্ড ১৭, পৃষ্ঠা ১৭
এনামুল মুফতি, পৃষ্ঠা ৮৩০
আমাদের পোষ্টের উপরোক্ত কথা থেকে এটাই বুঝা যাচ্ছে, যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও গেমস খেলা যাবে আবার যাবেও না। তবে এই কথাটি বলে রাখা ভালো আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশে আলেমরা এটিকে নাজায়েজ বলেই ঘোষণা করেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মতত্ত্ববিদ ডাক্তার জাকির নায়েক তিনিও বলেছেন এসব গেমস খেলা উচিত না। কেননা এগুলোর বেশিরভাগ গুলাতেই ইসলামের বহির্ভূত অনেক জিনিস লক্ষ্য করা যায়। যেমন- পর্দাহীন নারী ইত্যাদি। যদিও এগুলো গ্রাফিক্স তারপরেও এগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। কেননা এগুলোর মাধ্যমে আমরা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলি। যা কোনো ভাবেই ঠিক না। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে এই সব বুঝে এগুলো থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুক। এবং শারীরিক ভাবে কসরত পূর্ণ এবং ইসলামী শরীয়ত দৃষ্টিতে কে যেগুলি জায়েজ সেই ধরনের খেলাধুলা খেলার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখার তৌফিক দান করুক। (আমিন)