আজকে আমরা "অল টিপস বাংলায়" এমন এমন কিছু রূপচর্চা বিষয়ক টিপস নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছি যে টিপস গুলো কে অবহেলা করলে। অর্থাৎ যে টিপস গুলো কে আপনি আপনার ব্যক্তি জীবনে অনুসরণ করলে আপনার ত্বক হবে ফর্সা, মসৃণ, ও দ্যুতিময়। আর আজকে আমাদের এই পোস্টের লেখার বিষয় হচ্ছে স্বাস্থ্য ও রূপচর্চা। আর আজকে আমরা এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি সে পোস্টে আমরা রূপচর্চার মাধ্যমে ফর্সা, মসৃণ ও দ্যুতিময় হওয়ার টিপস উপস্থাপন করব। আর বর্তমান সময়ে হাটে ও বাজারে অনেক রকমের ওই ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়। যে গুলো কেমিক্যাল যুক্ত যা ব্যবহারের ফলে আপনি সাময়িক ভাবে ফর্সা ও মসৃণ ত্বক পেলে ও। এই কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার ও নিজের ত্বকের ক্ষতিই সাধন করে থাকেন। আর সেই ক্ষতি থেকে আপনাদের কে এবং আপনাদের ত্বককে বাঁচানোর জন্য আজ কে আমরা আমাদের এই পোস্টে ত্বক কে ফর্সা, মসৃন ও দ্যুতিময় করার এমন ১০ টি উপায় বলে দিবে। যে গুলি কে অনুসরণের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ত্বককে করতে পারবেন আরও সুন্দর ফর্সা, ও মসৃণ। আর এর ফলে আপনাদের ত্বক যেমন বাজারের ওই সব কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম থেকে রক্ষা পাবে। তেমনি ওই সব ক্রিম ক্রয় করার ফলে আপনাদের ব্যয় হওয়া অর্থ ও কম হবে। অর্থাৎ ক্রিম ক্রয় করার জন্য আপনার যে সব অর্থ ব্যয় করে থাকে সেই সব অর্থ আর ব্যবহার করতে হবে না। অর্থাৎ সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় এর মাধ্যমেই আপনারা আপনাদের নিজেদের ত্বক কে করতে পারবেন, ফর্সা, মসৃণ ও দ্যুতিময়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবং আপনাদের ধৈর্য কে বিচ্যুতি না করে। আমরা আমাদের পোষ্টের প্রধান অর্থাৎ ত্বক ফর্সা ও মসৃণ করার জন্য যে ১০ টি উপায় বলবো সেই ১০ টি উপায় কে উপস্থাপন করা যাক।
৮.. শিশুদের কে কোলে নিলেই মনে হয়। ইস, এমন ত্বক যদি আমার হতো। এমন আকাঙ্ক্ষা কারি ব্যক্তিদের জন্যই আমাদের এই ৮ নম্বর টিপসটি। আপনারাও যদি এমন ত্বক পেতে চান তাহলে, দুই চামচ চিনি ও তিন চামচ বেবী ওয়েল একত্র মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবং নিয়মিত ভাবে মুখে ব্যবহার করুন।
১.. প্রথমে আপনারা বেসন, লেবুর রস, ও কাঠবাদাম কে সুন্দর হবে এক সাথে পেস্ট করে মুখিয়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর সুন্দর ভাবে মুখ ঠান্ডা পানি দ্বারা পরিষ্কার করে নিন। আর এর ফলে বেসন ও লেবুর রসে মুখের মৃত কোষ ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এবং কাজু বাদাম ব্যবহার এর ফলে আপনাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখা সম্ভব হবে। তাই যাদের ত্বককে কালো দাগ ও যাদের ত্বকের আদ্রতা নেই। তারা নিজেদের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য, আমাদের এক নম্বর টিপসটি কে অনুসরণ করতে পারেন।
২.. প্রথমেই আপনারা কলা ও দুধ কে সুন্দর ভাবে একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এরপর সেই পোস্টকে মুখে ও ঘাড়ে ভালভাবে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানি দ্বারা মুখ ও ঘাড় কে সুন্দর ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে আপনার ত্বক হবে মসৃণ। কেননা ত্বককে মসৃণ করতে কলার কোন বিকল্প অর্থাৎ জুড়ি নেই। এতদিন আমরা শুধু জেনে এসে ছিলাম কলা শুধু মাত্র ভালো খাবার জিনিস। কিন্তু আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে কলার বিকল্প একটি গুন সম্পর্কে অবগত হলাম।
৩.. আল্লাহ তা'আলা কুরআন মাজিদে বলেছেনঃ মৃত্যু বাদে সর্ব রোগের ওষুধ হচ্ছে মধু। আর সেই মধুর ঔষধি গুন সম্পর্কে কে না জানে। তাই মধু, দই ও লেবুর রস এক সঙ্গে ভালোভাবে সুন্দর করে মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। আর এত কিছু যদি আপনি যদি যোগাড় করতে না পারেন। তাহলে শুধুমাত্র মধুকেই ২০ মিনিটের জন্য আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন। এবং এরপর ঠান্ডা পানি দ্বারা ভালো করে ধুয়ে নিন। এমন ভাবে নিয়মিত কিছুদিন করলেই আপনারা দেখতে পাবেন আপনাদের ত্বক আগের থেকে অনেক বেশী উজ্জ্বল হয়ে গেছে। আর আল্লাহ তা'আলা যেহেতু নিজেই বলেছেনঃ মধু সর্ব রোগের ঔষধ তাই আপনারা আপনাদের এই সমস্যার ও সমাধান মধুর মাধ্যমেই পাবেন। ইনশাল্লাহ
৪.. আলু বা টমেটো কে আমরা শুধুমাত্র খাবার জন্য ভালো সবজি হিসেবেই মনে করে থাকি। কিন্তু আলু বা টমেটো রং ফর্সা করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তাই আলু ও টমেটো ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন আর ব্যবহারের ফলে আপনাদের ত্বক হবে অনেক দ্যুতিময়। তাই যারা নিজের ত্বককে ফর্সা ও দ্রুতিময় করতে চান। তারা টমেটো ও আলু পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৫.. আপনারা যারা নিজেদের ত্বককে অনেক পরিষ্কার করতে চান। তারা প্রথমেই মসুরের ডাল, দুধ, লেবুর রস এবং চালের গুঁড়া একসঙ্গে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এবং সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করুন। তাহলে আপনারা লক্ষ্য করতে পারবেন, যে আপনার ত্বক আগের থেকে অনেক পরিস্কার হয়ে গেছে। আপনাদের ত্বক কে পরিষ্কার করার জন্য এটি খুব ভাল কার্যকরী একটি উপায়।
৬.. আপনারা যারা নিজের ত্বককে উজ্জ্বল ও ত্বককের টান টান ভাব আনতে চান। তারা প্রথমেই ডিমের সাদা অংশ ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এবং পরে সুন্দর ভাবে মুখ কে ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই আপনাদের কাঙ্খিত ইচ্ছা পূরণ হবে। ত্বককে উজ্জ্বল ও টান টান করার জন্য আমাদের ৬ নাম্বার টিপসটি খুবই কার্যকরী একটি টিপস। চাইলে আপনারা এই টিপসটি কে অনুসরণ করে দেখতে পারেন।
৭.. আপনারা প্রথমেই এক চামচ চিনি ও দুই চামচ লেবুর রস সুন্দর ভাবে একত্রিত করে। মুখে বা পুরো শরীরে লাগিয়ে ডলতে থাকুন যতক্ষন পর্যন্ত না, চিনি পুরোপুরি গলে যায়। এটি পুরো শরীরের জন্য অথবা মুখে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা যেতে পারে।
৮.. শিশুদের কে কোলে নিলেই মনে হয়। ইস, এমন ত্বক যদি আমার হতো। এমন আকাঙ্ক্ষা কারি ব্যক্তিদের জন্যই আমাদের এই ৮ নম্বর টিপসটি। আপনারাও যদি এমন ত্বক পেতে চান তাহলে, দুই চামচ চিনি ও তিন চামচ বেবী ওয়েল একত্র মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবং নিয়মিত ভাবে মুখে ব্যবহার করুন।
৯.. আমাদের দেশের প্রায় অনেক ছেলে মেয়েরাই মুখের মধ্যে অনেক ব্রণ ও ব্রনের দাগ হয়ে থাকে। আর আজকের আমাদের ৯ নাম্বার টিপসটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আমরা ৯ নাম্বার টিপসে বলবো ব্রন ও ব্রনের কালো দাগ থেকে কিভাবে আপনারা মুক্তি পাবেন। এর জন্য পর্ণফ্লাওয়ার এবং শসার মিশ্রন তৈরী করে নিতে হবে। এবং সেই মিশ্রন গুলোকে প্রতিদিন ভালোভাবে মুখে লাগাতে হবে। আর এমন ভাবে নিয়মিত করলে। আপনারা খুব দ্রুতই দেখতে পাবেন আপনাদের ব্রণ ও কালো দাগ সেরে যাচ্ছে।
১০.. আমরা ১০ নম্বরে যে টিপসটি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, এটি ব্যবহার করার জন্য কোন টিপস না। এই টিপসটি হচ্ছে গ্রহণ করার জন্য অর্থাৎ খাবার জন্য। আপনারা পানি, সবুজ সবজি, ফলের রস, মাছ, ও ডিম বেশি বেশি খাবেন। কেননা এগুলি রক্ত পরিষ্কার করে থাকে। তাই এগুলো পরিমাণ মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের উপরোক্ত টিপস গুলোকে অনুসরণের মাধ্যমে আপনারা যেমন সুন্দর, উজ্জ্বল, ও দীপ্তিময় ত্বক পাবেন। তেমনি আমাদের উপরের উল্লেখিত টিপস এর উপাদান গুলি খুব সহজেই হাতের নাগালে অর্থাৎ ঘরের ব্যবহারিত জিনিসপত্র থেকেই পাবেন। এর ফলে আপনাদের কে বাড়তি কোন টাকা খরচ করতে হবে না। এছাড়াও এই সব টিপস অনুসরণের মাধ্যমে আপনারা বাজার থেকে কিনে আনা কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। এর ফলে আপনাদের যেমন আর্থিক ভাবে লাভ হবে। তেমনি আপনাদের ত্বক এসব কেমিক্যাল এর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে। এইসব কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে হয়তো আপনাদের ত্বক সাময়িক ভাবে অনেক সুন্দর ও ফর্সা হবে। কিন্তু এগুলি ব্যবহার ফলে আপনার ত্বকের যে ক্ষতি গুলো হবে। আমাদের উপস্থাপিত টিপস গুলি ব্যবহারের ফলে আপনাদের সেই রকম ক্ষতি হবে না। কেননা আমরা টিপসের মধ্যে যেসব উপাদান গুলি কে উল্লেখ করেছি সেগুলি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। এরপরেও আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা বুঝতে কোন অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানিয়ে দিবে।