সুদূর অতীতে যা ছিল শুধুমাত্র কল্পনা আজ প্রযুক্তির কল্যাণে তা বাস্তব। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে অতীতে মানুষের কাছে যা ছিল শুধুমাত্র কল্পনা আজকে তা বাস্তব। আর ক্রমবিকাশ মান সব প্রযুক্তির মধ্যে অন্যতম একটি হলো মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন। বর্তমান সময়ের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তির নাম হলো স্মার্টফোন। যা যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যেখানে অতীতে যোগাযোগের জন্য চিঠিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ লেগে যেত যোগাযোগ করতে। সেই যোগাযোগে এখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই করা সম্ভব। আর তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রযুক্তির কল্যাণে নির্মিত স্মার্টফোন এর মাধ্যমে। শুধু কি? যোগাযোগ এ ছাড়াও রয়েছে এর বিভিন্ন সুবিধা। যেগুলি অতীতে কল্পনা ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। এই স্মার্ট ফোন দিয়েই বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। অনলাইনের মাধ্যমে শপিং করতে পারে, ঘরে বসেই নিজের চাহিদা অনুসারে খাদ্য অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারে, বিনোদনের জন্য মিউজিক সহ বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলতে পারে। এছাড়া ও বিভিন্ন ধরনের কাজ এই ডিভাইসটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমানে পুরো বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিণত করেছে। অর্থাৎ গ্লোবাল ভিলেজ যেটির অন্যতম একটি নিয়ামক হল স্মার্টফোন। তবে এত সুবিধা থাকার পরেও শুধুমাত্র এই ডিভাইসটির চার্জ শেষ হয়ে গেলেই এটি অচল হয়ে পড়ে। তাই আমাদের উচিত মোবাইল ফোনকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা এবং যার যাতে বেশি সময় ধরে থাকে। এর জন্য বিশেষ কিছু কার্যকরী উপায় কে অবলম্বন করা যায়। আর সেই সব উপায় সম্পর্কে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে পূর্বের একটি পোস্টে উপস্থাপন করেছি। সেটি সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে সেই পোস্টটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য কতটা বিদ্যুতের দরকার, কত টাকা খরচ হয়? জেনে নিন!
বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ফোন নির্মাতা কোম্পানি অত্যাধিক শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করেন এই সব স্মার্টফোনে। তবে পূর্বে অধিকাংশ ফোনেই কম ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হতো। যার ফলে সেই সব ডিভাইসের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যেত। এবং সেইসব ডিভাইসকে একাধিকবার চার্জ দিতে হতো। আর একাধিকবার সেসব ডিভাইসকে চার্জ দেওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ বেশি হতো। তবে আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই জানে না প্রতিবার চার্জিং এর ফলে ঠিক কত তা পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে।
প্রতিবছর মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার জন্য কত ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়।
স্মার্টফোন কে চার্জ দেওয়ার ফলে বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণটি সম্পন্ন নির্ভর করে কি ধরনের চার্জিং এডাপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে তার উপর। এক সময়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোন চার্জার এর মধ্যে ৩ থেকে ৭ ওয়াটের চার্জিং এডাপ্টার ব্যবহার করা হয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন যদি ২ ঘন্টা চার্জ দেওয়া হয়। তাহলে ০.০০৬ থেকে ০.০০১৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে। তবে বর্তমানে সময়ে মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলি এর থেকেও অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন এডাপ্টার ব্যবহার করে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে ও উপরোক্ত ক্রমটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ চার্জার যদি ১৫ ওয়াটের হয় তাহলে ০.০০৩০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। এ রকম করে যদি চার্জার ৩০ ওয়াটের হয় সে ক্ষেত্রে ০.০০৬০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
প্রতি বছর মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হয়।
আমরা আপনাদেরকে বুঝানোর সুবিধার্থে ৩ ও ৭ ওয়াটের এডাপ্টারের চার্জিং খরচটি উপস্থাপন করছি। ঠিক একই নিয়মে চার্জিং এডাপ্টারের ওয়াটের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খরচের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
একজন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে নিজের ফোন চার্জ করে। তাহলে সেই ব্যক্তি সারা বছরে মোট ২ থেকে ৫ ইউনিট পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবেন। সে ক্ষেত্রে যদি প্রতি ইউনিটের দাম ৪ টাকা করে হয়। তাহলে ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য সেই ব্যক্তিকে প্রতি বছরে ১৬ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মুরগির মাংসের সাদা ভুনা প্রস্তুত প্রণালী।
প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে যারা মোবাইলকে সারারাত চার্জিং এর সঙ্গে লাগিয়ে রাখে ফলের ফুল চার্জ হওয়ার পরেও বিদ্যুৎ খরচ হতে থাকে। সে ক্ষেত্রে সেই প্রতিবেদনে রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের অতিরিক্ত ২ থেকে ৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ আরো বেশি হয়।
তবে বলে রাখা ভালো উপরোক্ত এই প্রতিবেদনটির রিপোর্টটি শুধুমাত্র একটি ফোনের জন্যই প্রযোজ্য। সেক্ষেত্রে ফোনের সংখ্যা বাড়লে চার্জিং খরচের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাবে। এবং চার্জিং এডাপ্টারের ওয়াটের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খরচের সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ ফোনের সংখ্যা, ব্যাটারি ও চার্জিং এডাপ্টার এর উপর আপনার প্রতি বছরের মোবাইল ফোনের চার্জ দেওয়ার খরচ সংখ্যা নির্ভরশীল। মোবাইল ফোনের সংখ্যা, ব্যাটারি ও চার্জিং এডাপ্টারের কম বেশির ফলে আপনার খরচের সংখ্যাও কম বেশি হতে থাকবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, যদি কোন ব্যক্তি ৩ থেকে ৭ ওয়াটের এডাপ্টার ব্যবহার করে। সারা বছর ২ ঘন্টা করে চার্জ দেয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি প্রতি বছরে ১৬ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য খরচ করে ফেলেন। ঠিক একই রকম ভাবে আপনার চার্জিং এডাপ্টার এর ওয়াটের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার খরচের পরিমাণ ও বৃদ্ধি পেতে থাকবে।